এ. পি. লুকাস
আলফ্রেড পেরি (বানি) লুকাস (ইংরেজি: A. P. Lucas; জন্ম: ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৭ - মৃত্যু: ১২ অক্টোবর, ১৯২৩) লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সদস্যরূপে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। ঘরোয়া কাউন্টি ক্রিকেটে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, সারে,[১] মিডলসেক্স[২] ও এসেক্স ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে স্লো বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন এ. পি. লুকাস। প্রারম্ভিক জীবনআপিংহাম স্কুল অধ্যয়ন শেষে কেমব্রিজের ক্লেয়ার কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি।[৩] সতের বছর বয়সে ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাটসম্যান হিসেবে এমসিসি’র বিপক্ষে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেন।[৪] এ সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় দল ও ছুটির দিনগুলোয় সারের পক্ষে খেলেন। ১৮৭৬ সালে লুকাস লিগের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হন। ১৮৭৭ সালে তার ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি ঘটে। তিনি কেবলমাত্র ব্যাটিং গড়ে ডব্লিউজি গ্রেসের পিছনে ছিলেন। এছাড়াও, কার্যকরী স্লো বোলার হিসেবেও নিজের দক্ষতা তুলে ধরেন। উইকেটপ্রতি চৌদ্দরানেরও কম দিয়ে ৩৪ উইকেট পান। ১৮৮২ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজ বিশ্ববিদ্যালয় দলের বিরুদ্ধে জেন্টলম্যান অব ইংল্যান্ড দলের পক্ষে নিজস্ব সেরা ৬/১০ লাভ করেন। খেলোয়াড়ী জীবনব্যবসায়িক দায়বদ্ধতার কারণে ১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফরে যেতে পারেননি। কিন্তু গত বছরে কেমব্রিজে থাকাকালীন তেমন সাফল্য লাভ না করা স্বত্ত্বেও লর্ড হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে ১৮৭৮-৭৯ মৌসুমে একমাত্র সফরে যান। টম এমেটের পর তিনি বোলিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। ১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পাঁচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ৫৫ তোলেন। ১৮৮০ সালে কেনিংটন ওভালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ডব্লিউ. জি. গ্রেসকে সাথে নিয়ে প্রথমবারের মতো শতরানের জুটি গড়েন। ৬-৮ সেপ্টেম্বর, ১৮৮০ সালে তারা এ শতরানের জুটিটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১৮৮৪ মৌসুমের প্রথম দুই টেস্টে অংশ নেন। তন্মধ্যে স্টিকি উইকেটে অবস্থান করে অপরাজিত ১৫ তুলেছিলেন। ব্যাংকে চাকরি করার কারণে তাকে ১৯০২ সাল থেকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হতে হয়। তারপরও পঞ্চাশ বছর বয়সে সর্বশেষ ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তথ্যসূত্রআরও দেখুনবহিঃসংযোগ
Information related to এ. পি. লুকাস |
Portal di Ensiklopedia Dunia