ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সংক্ষেপে সিপিআই(এম) হল ভারতের একটি কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯৬৪ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর কলকাতায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) সপ্তম কংগ্রেসে সিপিআই ভেঙে এই দল গঠিত হয়। ২০২৩ সালের পরিস্থিতি অনুসারে, সিপিআই(এম) কেবল কেরালা রাজ্যের শাসকদল। প্রধানত কেরল রাজ্যে অধিক শক্তিশালী হলেও একসময় পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় এই দল সরকার গঠন করেছিল। দলের দাবি অনুসারে, ২০১৩ সালে এই দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ১,০৬৫,৪০৬।[৬] সিপিআই(এম)-এর সাংগঠনিক ভিত্তি হল ভলাদিমির লেনিন কর্তৃক প্রবর্তিত গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদ। এই মতবাদ অনুসারে, দলের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ও মুক্ত আলোচনার পদ্ধতি স্বীকৃত। দলের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব পলিটব্যুরো।
ইতিহাসভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে বিভাজন এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি(মার্ক্সবাদী)-এর উদ্ভবভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) বিভাজনের পর "ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)"-র উদ্ভব হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বছরগুলিতে অবিভক্ত সিপিআই ছিল একাধিক গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী। তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরা ও কেরলে এই দল সশস্ত্র বিপ্লবে নেতৃত্বদান করে। যদিও পরবর্তীকালে সংসদীয় গণতন্ত্রে যোগ দিয়ে পার্টি পরিত্যাগ করে সশস্ত্র বিপ্লবের পন্থা। ১৯৫০ সালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক তথা দলের চরমপন্থী গোষ্ঠীর এক বিশিষ্ট প্রতিনিধি বি. টি. রণদিভে বাম-অ্যাডভেঞ্চারবাদের অভিযোগে পদচ্যুত হন। ![]() ![]() ভারতের স্বাধীনতার পর জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার কৌশলগত কারণে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে। সোভিয়েত সরকারও চাইত ভারতীয় কমিউনিস্টরা ভারত রাষ্ট্রের সমালোচনার ব্যাপারে মধ্যপন্থা অবলম্বন করুক এবং কংগ্রেস সরকারের সহায়ক মনোভাবাপন্ন হোক। যদিও সিপিআই-এর একটি বিরাট অংশ দাবি করে যে ভারত একটি অর্ধ-সামন্ততান্ত্রিক দেশই রয়ে গেছে। আর তাই সোভিয়েত বাণিজ্য ও বিদেশনীতির খাতিরে শ্রেণি সংগ্রামের গুরুত্ব হ্রাস করা অনুচিত হবে। অধিকন্তু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ব্যাপারে তখনও প্রতিকূল মনোভাবাপন্নই রয়ে গিয়েছিল। ১৯৫৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের একমাত্র অ-কংগ্রেসি রাজ্য সরকার ই. এম. এস. নাম্বুদিরিপাদ ক্যাবিনেটকে বরখাস্ত করে কেরলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে। একই সময়কালে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিএসইউ) ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হয়। ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিক থেকে সিপিসি অভিযোগ করতে থাকে যে সিপিএসইউ ক্রমশ সংশোধনবাদী হয়ে পড়ছে এবং মার্কসবাদ-লেনিনবাদের আদর্শ থেকে সরে আসছে। ইতোমধ্যে চীন-ভারত বৈদেশিক সম্পর্কেরও অবনতি ঘটে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের সূচনা হয়। বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ
সিপিআই(এম) পন্থী সাহিত্যিকগণএই রাজনৈতিক দলের পক্ষে অনেক সাহিত্যিক লেখক নাট্যকার কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে সফদর হাশমি, উৎপল দত্ত, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ননী ভৌমিক অন্যতম। বর্তমান প্রজন্মের কবি ও লেখিকা মন্দাক্রান্তা সেন। আরও দেখুন
পাদটীকা
বহিঃসংযোগ![]() উইকিমিডিয়া কমন্সে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
পার্টি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট
পার্টি সংবাদপত্র
নিবন্ধ
Information related to ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) |
Portal di Ensiklopedia Dunia